বায়ু দূষণ ও বিষাক্ত সিসার প্রভাবে প্রতিনিয়ত পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এতে সারা বিশ্বে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। এ বিষয়ে এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দূষণের কারণে ২০১৯ সালে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ অকালে মারা গেছে। পিওর আর্থ নামে দূষণ নিয়ে কাজ করা একটি অলাভজনক সংগঠনের একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি একটি গবেষণা নিবন্ধে এসব তথ্য জানান। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে।

বিশ্বের মৃত্যুর তথ্য-উপাত্ত ও দূষণের মাত্রা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাঁরা বলছেন, শিল্পপণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরায়ণের ফলে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বে বায়ু দূষণ সংক্রান্ত কারণে মৃত্যু ৭ শতাংশ বেড়েছে।

সংগঠনের প্রধান ও গবেষণার সহলেখক রিচার্ড ফুলার বলছেন, ‘আমরা একটি গরম পাত্রে বসে আছি এবং ধীরে ধীরে জ্বলছি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, ম্যালেরিয়া ও এইচআইভির মতো পরিবেশ দূষণে অত গুরুত্ব দিচ্ছি না।’

বাতাস, পানি এবং মাটিতে মানুষের সৃষ্ট বর্জ্য মানুষকে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যা করে না এর পরিবর্তে হৃদরোগ, ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করে।

দূষণ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ল্যানসেট কমিশন বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্যের উপর দূষণের প্রভাব ‘যুদ্ধ, সন্ত্রাস, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, যক্ষ্মা, মাদক ও অ্যালকোহলের চেয়েও অনেক বেশি।’ দূষণ হলো মানব স্বাস্থ্য এবং গ্রহের অস্তিত্বের জন্য হুমকি এবং আধুনিক সমাজের স্থায়িত্বকে এটি বিপন্ন করে তোলে বলে উল্লেখ করেছে কমিশন।

গবেষণাটি বলছে-পরিবেশ দূষণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হওয়া ১০টি দেশের বেশির ভাগই আফ্রিকা মহাদেশের। দূষণে সর্বাধিক মৃত্যু হওয়া দেশগুলো হলো-চাদ, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, নাইজার, সোলোমন দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ আফ্রিকা, উত্তর কোরিয়া, লেসোথো, বুলগেরিয়া ও বুরকিনা ফাসো।